বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
বুধবার (১৩ মে) বিকেলে ধৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: খায়রুল আনাম ডন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার মহলবাড়ী (কবুলাডাঙ্গী) গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী (১৯) ও তার ছোট বোন(১৫) কে উপজেলার ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে জহিরুল (২৮) কৌশলে ওই এলাকার (সিডি অফিসের পিছনে) উপেন দেবের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে দুই বোনের হাত পা ওড়না দিয়ে বেঁধে জহিরুল ইসলাম, রুবেল (২৬), উপেন দেব (২৮), ফয়জুল আক্তার ফজলু (৩৫) ও মিলন (২০) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেরাই বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।
মামলার প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৩ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম, বাবুল মিস্ত্রির ছেলে রুবেল, জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে উপেন দেব, মহলবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফয়জুল আক্তার ফজলু ও দক্ষিণ সন্ধারই গ্রামের শহিদুলের ছেলে মিলনকে গ্রেপ্তার করে
মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: খাইরুল আলাম ডন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: খাইরুল আলাম ডন বলেন, দুই বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী)২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা হয়েছে। রানীশংকৈল থানার মামলা নং- ১৫, তারিখঃ ১৪/০৫/২০২০।